গত পরশু (০৭-০১-২০২৩) Tarikur ভাইরে নিয়া ঘুরতে গিয়েছিলাম পোল্যান্ডে। বর্ডার পার হয়ে একটা মার্কেটে ঘুরোঘুরি করলাম। প্রায় বাংলাদেশের দামে অকটেন কিনে গাড়ি লোড করলাম। এখানে দেখি ওখানে কন্টেইনার পাওয়া যায় অতিরিক্ত তেল নেয়ার জন্য। দুইটা ২০ লিটারের বোতল কিনে গাড়িতে তুলে ভাবলাম পোল্যান্ডের একটু ভেতরে ঘুরে আসা যাক। মার্কেট থেকে বের হয়ে দেখি মোর ঘোরা যাবে না। মোর নিতে আরও সামনে যেত হবে। মোর ঘুরতে গিয়ে আবার ঢুকে গেলাম জার্মানিতে তারপর আবার পোল্যান্ডে ফেরত আসলাম। ভেতরে হয়তো ২০ কিলৌমিটার গিয়েছিলাম এরপর আবার বর্ডার ক্রস করে জার্মানিতে ব্যাক। কিন্তু তারপরই শুরু হল আসল ঘটনা।
Category: Story of life
আমার বাবা হওয়া, পর্ব – ৩ 🐣
স্পেশাল সনোগ্রাফির তারিখ চলে আসলো। আমরা নাচতে নাচতে চলে গেলাম। গিয়েই অভ্যর্থনায় জানানো মাত্র কিছু জার্মান ফর্ম ধরায় দিয়ে পুরন করতে বললো। বলে রাখি জার্মানিতে আইন কানুন এত মেনে চলা হয় যে পেপারওয়ার্কের কথা শুনলে জার্মানরা পর্যন্ত মুড অফ করে ফেলে আর আমিতো কোন ছাড়। বছরখানেক আগে একটা আবেদন করতে করার জন্য আমার CTO এর সাহায্য নিয়েছিলাম সে পর্যন্ত বুঝতে পারছিল না কিছু জিনিস। বলে যে আমি এরকম কিছু আগে দেখি বা শুনি নাই। অথচ ওই আবেদন সেও অতীতে কয়েকবার করেছে।
আমার বাবা হওয়া, পর্ব – ২ 🐣
এখানকার মানুষজন অন্তসত্তা হলে বিষয়টাকে পাত্তাই দেয় না। সারাদিন কাজকর্ম এমনকি খেলাধুলাও করে। আমি প্রথমে যে অফিসে জয়েন করি সেখানে একজন সহকর্মীর বাচ্চা হল সে মহিলা তো আরেক কাঠি সরেস। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগের দিনগুলোতে সে স্কেটিং করছে এমনকি আমাদের অফিসে বেড়াতেও আসলো কি যেন একটা অনুষ্ঠান হইছিল সেটাতে। তারপরদিন বাচ্চা হল আবার দেখি ১ দিনের বাচ্চা নিয়ে অফিসে বেড়াতে আসছে নাচতে নাচতে। জ্বি ঠিকই শুনেছেন বাচ্চা হবার পরদিন সে বুকে একটা কাপর দিয়ে বাচ্চা পেঁচিয়ে অফিসে আসছে বেড়াতে।
আমার বাবা হওয়া, পর্ব – ১ 🐣
বাবা হওয়া অনেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি বড় অধ্যায়। ভুলভাল করলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। এর আগে একবার হাসপাতালে স্বল্পসময়ের জন্য ভর্তি হওয়া এবং অনেকবার ডাক্তারের সাথে সাক্ষাতকারের সূত্রে জার্মান সাস্থ্যসেবার উপরে আমার আস্থা ছিল আগে থেকেই। এরা খুব পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করে। তৈলমর্দন করবে না বিধায় মাঝে মাঝে এদের নির্মম মনেহতে পারে। যেমন ধরেন হাসপাতালে প্রটোকল অনুযায়ী সেবা দিবে আপনাকে। আপনার ধরেন পা ভেঙ্গে ঝুলতেছে দেখা যাবে আপনাকে জরুরী অবস্থা পরীক্ষা করে বসিয়ে রাখলো ২ ঘন্টা। জরুরী সবথেকে বেশি যার সেই আগে সুবিধা পাবে কে নবাবের বেটা আর কে হোমলেস এটা দেখার বিষয় না।
ফ্রিতে ব্যাবহারযোগ্য জিনিসপত্র পাওয়ার গল্প
ডার্মস্ট্যাডে থাকাকালীন আমরা থাকতাম ফিজ নামে একটা স্টুডেন্ট ডর্মে। ওদের আবার ইয়াং প্রফেশনালদের একটা কোঠা আছে তো সেই কোঠায় চান্স পেয়ে গেলাম। সমস্যা হল ফ্রিজটা খুবই ছোট। বউ মাঝে মধ্যেই অস্বস্তি প্রকাশ করতো। এখানে আসার পরই জানতে পারলাম কিছু যায়গায় মানুষজন তাদের অব্যবহৃত সোফা ফ্রিজ, খাট পালঙ্ক রেখে যায়। এগুলো যে কেউ নিয়েও যেতে পারে। ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের পাওয়ার প্লাগ যদি কাটা থাকে তার মানে ওটা নষ্ট আর যদি আস্ত থাকে তাহলে ওটা ভাল।
Continue reading ফ্রিতে ব্যাবহারযোগ্য জিনিসপত্র পাওয়ার গল্প
জার্মানি যাওয়ার পর প্রথম দেশে ফেরা
এখানে আসার পর থেকে হেন কোন ঝামেলা নেই যেটার সম্মুখীন হই নাই। রাস্তায় বের হতেও চিন্তায় পরতে হত। কেউ কিছু বুঝে না। কোনভাবে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছিলাম কিন্তু মিশুর কান্নাকাটিতে কিছুতেই স্বাভাবিক থাকতে পারছিলাম না। দিন দিন মানসিক শক্তি হারিয়ে যাচ্ছিল। একেতো নতুন অফিস সেখানে তাদের মহান পুরাতন টেকনোলজি তারপর সেটা আবার আমি পারি না। সবকিছু মিলিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা।
জার্মানিতে আসার শেষ সময়ের স্মৃতিচারন
জার্মানিতে আমার আসা নিয়ে বেশকিছু পোষ্ট লিখেছি, এবার চিন্তা করেছি কয়েকটি পোষ্ট লিখবো একটু ভিন্ন বিষয় নিয়ে। জার্মানি যাওয়ার প্রস্তুতি বা যাওয়ার প্রাক্কালে আমার ব্যাক্তিগত জীবনে একটা প্রভাব পরতে শুরু করে। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের রচনা।
জার্মানির কিছু ফ্যাক্ট এবং নিয়মকানুন যেগুলো জেনে আসা উচিত
জার্মানিতে এসে আমার মত যারা কোনদিন উন্নত দেশগুলে যায় নি তাদের একটু খাবি খেতে হয়, রাস্তা পার হবার আগেও টেনশনে থাকতে হয় কিছু ভুল হল কিনা ভেবে। যাদের পরিচিত কেউ এখানে আছে তাদের এই সমস্যা কম, কয়েকদিনেই সবকিছু শিখে ফেলে কিন্তু যাদের পরিচিত নাই তাদের জন্য একটু সমস্যাই। এক্ষেত্রে আগেভাগে নিয়মকানুন কালচার সম্পর্কে জেনে আসতে পারলে ভাল তাতে নির্ভার থাকা যাবে। এসব কিছু বিষয় নিয়েই আজকের লেখা। যদি কোন পয়েন্ট বাদ পরে যায় তাহলে কমেন্টে জানানোর জন্য অনুরোধ থাকলো।
Continue reading জার্মানির কিছু ফ্যাক্ট এবং নিয়মকানুন যেগুলো জেনে আসা উচিত
জার্মানিতে প্রথম দিনগুলি ৩
ঘটনাটা খুবই বিব্রবকর, এয়ারপ্লেন মুড বন্ধ করে চালু করেও সুবিধা করতে পারলাম না, লাইকামোবাইলের বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দেখলাম একটু ইন্টারনেট পেলাম এবং সাথে সাথে মিশুর (বউ) মেসেজ পেলাম, আমি কেন এতক্ষন ধরে যোগাযোগ করতেছি না তার বিস্তারিত অভিযোগপত্র! আমি যে কি বিপদে আছি সেটা এখন বুঝানোর মত টাইমও নাই। কিন্তু ও কি আর এগুলা বুঝে? এমন একটা দেশে আসছি যাদের ভাষা আমি বুঝি না আমার ভাষা তারা বুঝে না এটা যে কি পরিমান বিপদ সেটা এমন পরিস্থিতিতে না পরলে বুঝা সম্ভব না।