গতবছর ২৮ জুলাই ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর বার্লিন বেড়াতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, বার্লিন আমার অত্যান্ত পছন্দের যায়গা। আমি আগে কখনো না গেলেও হিস্টোরিতে প্রচন্ড আগ্রহ থাকায় বার্লিন নিয়ে অনেক অনেক লেখা পড়েছি এবং ডকুমেন্টরি দেখেছি। দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে দুই সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল বার্লিন। জার্মানি আসার পর থেকেই বার্লিন যাওয়ার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকতো অবশেষে সুযোগ একদিন এসেই পরলো অফিসে একদিন ছুটি নিয়ে উইকেন্ডের দুই দিন মিলিয়ে ৩ দিনের একটি ট্যুর দিয়েই ফেললাম। ট্যুরের বিস্তারিত উল্লেখ করার চেষ্টা করবো আশাকরি।
নাম নিয়ে সমস্যা, Md দিলে কি সমস্যা হবে? সিগনেচার বাংলায় হবে?
বাঙালির নাম সমস্যাঃ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে আমাদের পার্থক্য হল, ওদের নাম আর জন্মদিন একটাই কিন্তু আমাদের একটার বেশি হতেই হবে। জন্মদিন তো দুটা কমন ইস্যু এরপর শুরু হয়েছে নাম সমস্যা, নিজের বাড়িতে একটা নাম অফিশিয়াল কাগজপত্রে আরেকটা নাম, আত্বীয় স্বজনের কাগজে আরেকটা আবার যায়গাজমির কাগজে আরেকটা। এতগুলো নাম নিয়ে যন্ত্রনা সাধারন মানুষদের খুব একটা পোহাতে না হলেও সমস্যা হয় যারা দেশের বাইরে যান বা অনেক অফিশিয়াল কাজকর্ম করতে হয়। যারা এই সমস্যায় পরেছেন তারাই জানেন এটা কত বিরক্তিকর আর কষ্টদায়ক। আজকে আমি এরকম কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করবো এবং কিভাবে ভবিষৎতে এই সমস্যা থেকে দুরে থাকে যায় সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিবো।
Continue reading নাম নিয়ে সমস্যা, Md দিলে কি সমস্যা হবে? সিগনেচার বাংলায় হবে?
জার্মানি যাওয়ার পর প্রথম দেশে ফেরা
এখানে আসার পর থেকে হেন কোন ঝামেলা নেই যেটার সম্মুখীন হই নাই। রাস্তায় বের হতেও চিন্তায় পরতে হত। কেউ কিছু বুঝে না। কোনভাবে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছিলাম কিন্তু মিশুর কান্নাকাটিতে কিছুতেই স্বাভাবিক থাকতে পারছিলাম না। দিন দিন মানসিক শক্তি হারিয়ে যাচ্ছিল। একেতো নতুন অফিস সেখানে তাদের মহান পুরাতন টেকনোলজি তারপর সেটা আবার আমি পারি না। সবকিছু মিলিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা।
জার্মানিতে আসার শেষ সময়ের স্মৃতিচারন
জার্মানিতে আমার আসা নিয়ে বেশকিছু পোষ্ট লিখেছি, এবার চিন্তা করেছি কয়েকটি পোষ্ট লিখবো একটু ভিন্ন বিষয় নিয়ে। জার্মানি যাওয়ার প্রস্তুতি বা যাওয়ার প্রাক্কালে আমার ব্যাক্তিগত জীবনে একটা প্রভাব পরতে শুরু করে। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের রচনা।
জার্মানির কিছু ফ্যাক্ট এবং নিয়মকানুন যেগুলো জেনে আসা উচিত
জার্মানিতে এসে আমার মত যারা কোনদিন উন্নত দেশগুলে যায় নি তাদের একটু খাবি খেতে হয়, রাস্তা পার হবার আগেও টেনশনে থাকতে হয় কিছু ভুল হল কিনা ভেবে। যাদের পরিচিত কেউ এখানে আছে তাদের এই সমস্যা কম, কয়েকদিনেই সবকিছু শিখে ফেলে কিন্তু যাদের পরিচিত নাই তাদের জন্য একটু সমস্যাই। এক্ষেত্রে আগেভাগে নিয়মকানুন কালচার সম্পর্কে জেনে আসতে পারলে ভাল তাতে নির্ভার থাকা যাবে। এসব কিছু বিষয় নিয়েই আজকের লেখা। যদি কোন পয়েন্ট বাদ পরে যায় তাহলে কমেন্টে জানানোর জন্য অনুরোধ থাকলো।
Continue reading জার্মানির কিছু ফ্যাক্ট এবং নিয়মকানুন যেগুলো জেনে আসা উচিত
কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি
একটা সময় ছিল যখন লোকজন “হুজুগে বাঙালি” কথাটার বারবার প্রমান করার জন্য HSC শেষ করে নগদে CSE তে ভর্তি হয়ে যেত। তারপর একজন এই হুজুগটা গিয়ে পরলো EEE এর উপরে। ফাইনালি এখনো আমরা এই হুজুগটা প্রমান করেই চলেছি গনহারে CSE তে ভর্তি হয়ে। সবকিছু ভার্সিটির পড়াশুনা থেকে হয় না এটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুবই প্রমানিত। আমি দামী কোন ভার্সিটির ছাত্র ছিলাম না, বলতে গেলে নিম্বসারির একটা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলাম। আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম ইউনিভার্সিটি আমাকে তেমন কিছু দিতে পারবে না, যা করার আমাকেই করতে হবে। আমার নিজেরও অনেক ভুলভ্রান্তি ছিল যা আজকের লেখায় উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।
Continue reading কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি
জার্মানিতে বিভিন্ন অফিসের সার্ভিস অভিজ্ঞতা এবং ভাষাগত সমস্যা
জার্মানিতে আসার পরই বিভিন্ন অফিসে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেল, ইন্সুরেন্স, ফরেইন অফিস, ফাইন্যান্স অফিস, ব্যাংক ইত্যাদি। পুরোপুরি মিশ্র অভিজ্ঞতা। সবার সাথে অভিজ্ঞতাগুলো না মিললেও আমার অভিজ্ঞতাগুলো একটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করলাম আশাকরি আপনাদের কাজে আসবে। Continue reading জার্মানিতে বিভিন্ন অফিসের সার্ভিস অভিজ্ঞতা এবং ভাষাগত সমস্যা
জার্মানিতে প্রথম দিনগুলি ৩
ঘটনাটা খুবই বিব্রবকর, এয়ারপ্লেন মুড বন্ধ করে চালু করেও সুবিধা করতে পারলাম না, লাইকামোবাইলের বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দেখলাম একটু ইন্টারনেট পেলাম এবং সাথে সাথে মিশুর (বউ) মেসেজ পেলাম, আমি কেন এতক্ষন ধরে যোগাযোগ করতেছি না তার বিস্তারিত অভিযোগপত্র! আমি যে কি বিপদে আছি সেটা এখন বুঝানোর মত টাইমও নাই। কিন্তু ও কি আর এগুলা বুঝে? এমন একটা দেশে আসছি যাদের ভাষা আমি বুঝি না আমার ভাষা তারা বুঝে না এটা যে কি পরিমান বিপদ সেটা এমন পরিস্থিতিতে না পরলে বুঝা সম্ভব না।
জার্মানিতে প্রথম দিনগুলি ২
আমি বললাম টিকেটের তো কোন সিস্টেম দেখলাম না। আমার কেমন যেন শিরশিরানি অনুভূতি তৈরি হল, মুন্নি সাহা থাকলে আমার অনুভূতি জিজ্ঞাসা করার এই সুবর্ন সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করতো না এ বিষয়ে আমি ১০০% নিশ্চিত! আমি উল্টা উনারে ঝাড়ি লাগাই বললাম আপনি তো বইলা দেন নাই টিকিট কেমনে কাটে, আমিতো ভাবলাম বাসে কেউ ভাড়া তুলতে আসবে। ঠিকই তো আছে দেশে তো এমনেই টাকা তুলে আমার কি দোষ বলেন? পুরো BSAAG এর সব আর্টিকেল মোটামুটি পড়ে গিয়েছি কোথাও এরকম কিছু পাই নাই মাথায়ও আসে নাই, যাইহোক ইমদাদুল ভাই বললো এখনি ড্রাইভারের কাছে যান। ১৫ ঘন্টার মত জার্নি করে এসে বাসের নীচতলায় লাগেজ রেখে আরাম করে উপর তলায় বসে ছিলাম, হন্তদন্ত হয়ে নীচে নেমে ড্রাইভারের কাছে গেলাম Continue reading জার্মানিতে প্রথম দিনগুলি ২