জার্মানি যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্বেও কোথা থেকে শুরু করবেন এই চিন্তায় হয়তো প্রস্তুতি নেয়া শুরুই করা হয়ে ওঠে না। আমার উদ্দেশ্য এজন্য তথ্য দিয়ে সাহায্য করা যেন যোগ্য ব্যাক্তিরা প্রস্তুতি নিতে পারে। আমি যেহেতু IT পেশাজীবি তাই অভিজ্ঞতাগুলোও IT পেশাজীবিদের প্রেক্ষাপটের। আমি মুলত একজন IT পেপাজীবিদের জন্যই পোষ্টটি লিখবো।
কারা বাংলাদেশ থেকে জব নিয়ে জামার্নিতে যেতে পারবেন?
আপনি যদি জার্মানিতে একটা জব পান তাহলে আপনি জার্মানিতে আসতে পারবেন, চাকুরি করতে পারবেন এবং ফ্যামিলি নিয়ে বসবাস করতে পারবেন তবে আপনাকে একটা মিনিমাম বেতনের চাকুরি পেতে হবে, প্রতিটা দেশই সবসময় চায় অন্যদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ কাউকে আনতে এবং নিজের দেশের নতুনদের চাকরি দিতে। আপনি যে অভিজ্ঞ সেটা প্রমানের মাপকাঠি এখানে মুলত আপনার বেতন। এক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক বেতন হতে হবে সর্বনিম্ন ৫৫২০০ ইউরো (ট্যাক্সের আগে)। আপনি যদি IT পেশাজীবি বা পরিবেশ প্রকৌশলী হন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হতে হবে ৪৩০৫৬ ইউরো। সঠিক সংখা এবং হালনাগাদ তথ্যের জন্য এই লিংকটি দেখুন।
মুলত আইটি পেশাজীবিদের জন্য এখন জার্মানি আসা খুবই সহজ এবং সম্ভাবনাময়। আপনি যদি কোন জব পান যেটার বেতন উপরে উল্লেখিত বেতনের সমান বা বেশি তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে আসতে পারবেন এবং আসার পর আপনি “ব্লু কার্ড” ক্যাটাগোরীর রেসিডেন্স পারমিট পাবেন যা একই সাথে ওয়ার্ক পারমিট। ব্লু কার্ডধারী হলে আপনি সহযেই আপনার স্ত্রী সন্তান নিয়ে জার্মানীতে বসবাস করতে পারবেন। ১৮ মাস জার্মানিতে চাকুরি করার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোতেও একই রেসিডেন্স পারমিট/ওয়াক পারমিট দিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ব্লু কার্ড সম্পর্কে আরও জানতে নিচের পোষ্টটি পরতে পারেন। জার্মানির পথেঃ ৭ ব্লু-কার্ড, প্রবাসীদের জন্য জার্মানির দরজা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতার একটা ব্যাপার রয়েছে এখানে। আপনার সর্বনিম্ন গ্রাজুয়েশন করা থাকতে হবে জার্মানী সরকার অনুমোদিত ভার্সিটি থেকে। তবে আশার বানী হল বাংলাদেশের মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ই অনুমোদিত, যেগুলো সরাসরি অনুমোদিত (H+) না সেগুলোর ছাত্ররা যেতে পারবেন না ব্যাপারটা ঠিক এমনও না। তারাও নিজের যোগ্যতা প্রমান করে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। এরকম অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা পাবেন এখানে। সর্বশেষ আপডেট দেখার জন্য এই লিংকটি দেখুন উল্লেখ্য এটা জার্মান ভাষায় অনুদিত। কোন বাটন কাজ না করলে গুগল ট্রানস্লেটর দিয়ে অনুবাদ করে ফিল্টার সেট করার পর সার্চ বাটনে ক্লিক করার আগে ট্রানস্লেশন রিভার্ট করে নিতে পারেন।
এখন আপনি সহযেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে, আমি পরবর্তী পর্বগুলোতে জব কিভাবে পাওয়া যেতে পারে ভিসা ইন্টার্ভিউতে কি কি নিয়ে যেতে হবে এগুলোর বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করবো।
জার্মানী বিষয়ে সবথেকে ভাল রিসোর্স হল BSAAG Group
আমার কাছে বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। এজন্য আমাকে মেইল করুন asif.saho{at}gmail.com ঠিকানায়। আর লেখাটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। হয়তো আপনার মত অনেকেরই কাজে লাগতে পারে।