ইন্টার্ভিউ/সাক্ষাৎকার নিয়ে বরাবরই একটা আতঙ্ক কাজ করে আমাদের মধ্যে আর সেটা যদি কোন দুতাবাসে হয় তাহলে তা কিছুটা ভয় তৈরি করে। জার্মান দুতাবাসে ভিসার সাক্ষাৎকার তুলনামুলক অনেক সহয। এখন ভিসা দেয়ার হার অনেক ভাল তাই অযথা ভিসা বাতিল হয় না। বিশেষত যারা চাকুরি নিয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য ভিসা পাওয়ার হার ১০০% ই বলা যায় যদিনা কোন নিয়মভঙ্গ না হয়।
এমবেসিতে যাওয়ার প্রস্তুতি
ভিসার এপ্লাই করা জন্য আপনার বেশকিছু কাগজপত্র লাগবে। এর একটি তালিকা ছিল জার্মান দুতাবাস ঢাকার ওয়েব সাইটে, কোন অজানা কারনে তারা সেই তালিকাটা সরিয়ে নিয়েছে। প্রথমে এপয়েন্টমেন্ট বুক করে ফেলুন এই লিংকে থেকে। উল্লেখ্য আপনি এপ্লাই করছেন D Visa/National Visa এর জন্য। আমি কিছু তথ্য উল্লেখ করি যেগুলো ধরে রাখতে পারেন ওরা চাইবে। যেমন আপনার বর্তমান এবং পূর্ববর্তী কম্পানির এক্সপেরিয়েন্স লেটার, HSC, BSC এর ট্রান্সক্রিপ্ট (SSC লাগবে না), ভাল হয় এগুলো নিয়েই ইন্টার্ভিউ দিতে যাবেন। ফর্ম পুরন করার জন্য কোন পিডিএফ এডিটর ব্যবহার করতে পারেন এবং পূরন শেষে প্রিন্ট করে নিন। হাতেও ফর্ম পূরন করতে পারেন কিন্তু ভুলত্রুটি এড়ানোর জন্য কম্পিউটার থেকে পূরন করাই ভাল। অনলাইনে ফর্ম পুরন করাটা সবথেকে বেশি সুবিধাজনক, এখন জার্মান দুতাবাসের ওয়েব সাইটে অনলাইনে ফর্ম পুরনের সুবিধা আছে, এজন্য এই লিংকে যান।
আমি পুরো কাগজপত্রের তালিকাটা এখানে দিয়ে দিচ্ছি।
- The application form completely filled out (two sets).
- Your passport with at least 6 months of validity beyond the end of the visa period requested, with two blank pages available for the visa. Take two photocopies of the ID page.
- 2 passport photographs – a recent whole-face capture with a light background. Schengen Visa Photograph Requirements & Specifications. (Just ask your studio to make photographs for German embassy)
- Job Contract (Two copies)
- Accommodation – Ask your company to make it. If you can’t make it for the shortage of time it is okay without it. They will give you
an alternate option. - Travel health insurance confirmation of minimum 30,000 € coverage within Germany and the entire Schengen area. List of supported insurance companies in Bangladesh. (At least 14 days coverage from the intended date of journey).
এর পর যদি তারা অন্যকোন কাগজপত্র চায় তাহলে আপনাকে এমবেসি গেটে/ইমেইলে সাবমিট করার সুযোগ দিবে তাই চিন্তার কোন কারন নাই।
ইন্টারর্ভিউ: এমবেসিতে বাকি সব কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে যান। শুধু কাগজপত্র নিয়েই যাবেন ওরা কোনপ্রকার ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দিবে না শুধু ওয়ালেট, কলম এবং কাগপত্রের ফাইল এগুলো অনুমোদিত। ইন্টর্ভিউ এর সময় আপানাকে প্রচুর প্রশ্ন করা হতে পারে। চিন্তার কোন কারন নাই কারন এগুলো সবকিছুই আপনার সম্পর্কে। পড়াশুনা, এক্সপার্টিজ, স্কিল, সিজিপিএ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করবে মূলত।
ভিসা কালেকশন: আমার সময় লেগেছিল ২২ দিন। সাধারনত এরকমই সময় লাগে, প্রসেসিং শেষ হলে আপনাকে মেইলে অথবা ফোনে জানানো হবে এমবেসিতে আসার জন্য। মেইলের একটা প্রিন্টেড কপি (যদি মেইল করে থাকে), পাসপোর্ট আর ভিসা আবেদন গ্রহন করার রশিদ নিয়ে চলে যান এমবেসিতে। ভিসা হয়ে থাকলে আপনার পাসপোর্টে তারা ভিসা লাগিয়ে দিবে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভিসা না হওয়ার কোন কারন দেখি না। ভিসা যদি না হয়ে থাকে তাহলে সম্ভবত আবার এপ্লাই/আপিল করতে পারবেন, তাদের কাছে সহায়তা চাইতে পারেন এ ব্যাপারে যদিও না হবার কোন ঘটনা আমি এখনো শুনি নি।
ভিসা হাতে পাওয়ার পর করনীয়: ভিসা হাতে পাওয়ার পর খুশিতে আত্বহারা হয়ে বাসায় এসে সবাইকে মিস্টি খাইয়ে দিয়ে প্রথম কাজটা যেটা হবে বর্তমান কম্পানি ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রিজাইন দিয়ে দিন। আপনাকে এখন যাওয়ার প্রস্তুতিমুলক কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা বহির্গমন ছাড়পত্র এবং ম্যানপাওয়ার কার্ডের জন্য প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় এর অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ড এর অফিসে আবেদন করতে হবে। এটা সংগ্রহ করার বিস্তারিত আমি এই পোষ্টে উল্লেখ করেছি।