স্বপ্নিল স্মৃতি

এত যেন অন্তহীন দিনগোনা, কতদিন গুনলে কেউ ক্লান্ত হয়, কতবার পরলে সব মেসেজ মুখস্ত হয়ে যায়? সময়ের মত সবসময় চলতে থাকা এই মেশিনটা যেন শুধু দুরত্বই বাড়িয়ে চললো। অপেক্ষার পালা যেন ইনফিনিট লুপে আছে শেষ হবার নামই নেই, জীবনটাই তো একটা লুপের মধ্যে, প্রতিদিন একেকটি এক্সিকিউশন  এর এধ্যে আরও কত নেস্টেড লুপ…… থাক আর এসব টেকি প্যাচালে নাই বা গেলাম!

Continue reading স্বপ্নিল স্মৃতি

থিমফরেস্টে ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাবলিশ করার আগে একটা প্রয়োজনীয় চেকলিস্ট

আগেই বলে নিচ্ছি পোষ্টটি লিখেছেন হাসিন ভাইয়া, তার অনুমতিতে এখানে হুবহু কোট করা হল। মূল ডকটি এখানে

অনেক কষ্ট করে এবং সময় ব্যয় করে একটা ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরী করে তারপর হার্ড রিজেক্ট বা একের পর এক সফট রিজেক্ট খেলে দেখা যায় অনেকেই কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেন। তাদের জন্য আজকে আমার ছোট্ট এই চেকলিস্ট যাতেকরে প্রয়োজনীয় কাজগুলো আগেই ঠিকমত করে রাখতে পারেন এবং রিজেকশনের সম্ভাবনাও কমিয়ে ফেলতে পারেন 

১. ভ্যালিড মার্কআপ লিখুন। মার্কআপ যদি ব্রোকেন হয় তাহলে সেটা রিজেক্ট খাওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯ ভাগ ২. ডিজাইনে বৈচিত্র আনতে হবে এমন কোন কথা নেই, জাস্ট আপনার কাজ যেন সব ব্রাউজারে ঠিক মত চলে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ৩. টাইপোগ্রাফি এবং কনটেন্টের বিন্যাস খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হবার জন্য নতুন বা অ্যাপ্রুভ হওয়া থিমগুলো বেশী করে দেখুন। খুব বেশী এলিমেন্ট দেয়ার চেয়ে বরং আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করাটা বেশী জরুরী ৪. অবশ্যই কোন স্টাইলশীট বা জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইল ইনক্লুড করতে হলে সেটা ওয়ার্ডপ্রেসের wp_enque_script(), wp_enqueue_style() ব্যবহার করতে হবে, এবং wp_enqueue_scripts এবং admin_enqueue_scripts অ্যাকশন হুক ব্যবহার করতে হবে। এর কোন বাত্যয় হলে রিজেকশন একদম নিশ্চিত। ৫. </head> এর ঠিক আগের লাইনে wp_head() এবং </body> এর ঠিক আগের লাইনে wp_footer() কল করুন। ৬. সকল প্রকার ইনলাইন স্টাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ৭. সকল প্রকারের পিএইচপি নোটিশ, ওয়ার্নিং এবং এরর ফিক্স করে ফেলুন। কোন নোটিশ বা ওয়ার্নিং থেকে গেলে রিজেকশন একরকম নিশ্চিত। এবং এক্ষেত্রে আপনি error_reporting(0) ব্যবহার করতে পারবেন না। বরং সরাসরি ফিক্স করুন ৮. ব্লগ দেয়াটা আবশ্যক। ওয়ান পেজ বা মাল্টিপারপাস টেমপ্লেট করলেও ব্লগ সাথে রাখতেই হবে এবং ব্লগের নেভিগেশন মেনু অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেসের মেনু বিল্ডারের সাথে কম্প্যাটিবল হতে হবে। সাথে অবশ্যই সেকেন্ড লেভেল বা থার্ড লেভেল মেনু যাতে ঠিকমত দেখা যায় সেটা খেয়াল রাখা লাগবে। ৯. ওয়ার্ডপ্রেস থিমটি (বিশেষ করে ব্লগ সাইডবার) অবশ্যই উইজেট এনাবলড হতে হবে। ১০. single.php পেজে wp_link_pages() এর ব্যবহার না থাকলে রিজেকশন অবশ্যম্ভাবী ১১. ওয়ার্ডপ্রেসের ট্যাগ, ক্যাটেগরী, আর্কাইভ, পোস্ট, পেজ, পেজিনেশন যেন ঠিকমত দেখায় সেটা খেয়াল রাখতে হবে ১২. কোন আবশ্যক প্লাগইন ব্যবহার করলে সেটা থিমের সাথে এমবেড না করে বরং TGM Plugin Activation ক্লাস ব্যবহার করে সেগুলো এনাবল করুন। ১৩. ফাইলে কোন অযথা কমেন্ট করা কোড থাকলে সেগুলো মুছে ফেলুন ১৪. থিম ফোল্ডার থেকে সকল প্রকারের হিডেন ফাইল ডিলেট করে দিন ১৫. নিজস্ব কোন গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করলে অবশ্যই অবশ্যই ভ্যারিয়েবলের নামে একটা প্রিফিক্স (যেমন আপনার থিমের নাম) ব্যবহার করবেন। ১৬. আপনার থিমে অবশ্যই যেন কনটেন্টের অ্যালাইনমেন্ট এবং স্পেসিং ঠিক থাকে ১৭. কোন ধরনের ডিপ্রিকেটেড ট্যাগ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

থিমটি সাবমিট করার আগে অবশ্যই ডেভেলপার প্লাগইন (http://wordpress.org/plugins/developer

, ডিবাগ বার, থিম চেক) দিয়ে চেক করে নিন যেন অজান্তে কোন এরর না থেকে যায়। আর অবশ্যই wptest.io থেকে টেস্ট ডাটা ডাউনলোড করে আপনার থিমে ইমপোর্ট করে দেখবেন ফরম্যাটিং এবং সবকিছু ঠিক মত দেখায় কিনা – এটা কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়।

সবশেষে আপনার জন্য শুভকামনা রইল অনেক 🙂

Skrill নিয়ে যত কথা

Moneybookers (Skrill)করে সবাই দেখি অস্থির হয়ে যাচ্ছে। ভূলের কারনে অনেকেরই ডলার নষ্ট হচ্ছে বা অনেকেই উইথড্র করতে পারছে না। তাই ভাবলাম একটা Moneybookers (Skrill) এর ডিটেইল দিয়ে পোষ্ট লিখেই ফেলি।

 

Moneybookers (Skrill) কী?

Moneybookers (Skrill) একটা অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর, বিভিন্ন ব্যাংকের মত Moneybookers (Skrill) অর্থ লেনদেনের সুযোগ দেয় এবং ব্যাংকে অর্থ উইথড্র করা যায়। আপনি যদি পেপাল এর সাথে পরিচিত থাকেন তাহলে বুঝে নিন সেম।

 

Moneybookers (Skrill) ইউজের কারন?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাপকভাবে Moneybookers (Skrill) ইউজ করেন। বাংলাদেশে পেপাল না থাকায় আমাদের মধ্যে Moneybookers (Skrill) একচেটিয়াভাবে চলছে। মূলত Moneybookers (Skrill)র বহুরকম ইউজ থাকলেও আমাদের প্রধান ইউজ ওডেস্ক বা অন্যন্যা মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে অর্থ উত্তোলন করা এবং সেই অর্থ আমাদের ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসা।

Moneybookers (Skrill) একাউন্ট রেডি করার স্টেপগুলো হল:

১) একাউন্ট তৈরি করুন ২) এড্রেস ভেরিফাই করুন ৩) ব্যাংক একাউন্ট এড করুন ৪) Moneybookers (Skrill) ইমেইল মার্কেটপ্লেসের উইথড্রয়াল মেথড হিসেবে এড করুন ৫) প্রথম ট্রানজেকশন করুন ৬) ব্যাংকে ডলার আসার পর ব্যাংক ভেরিফাই করুন আপাতত এগুলোই হল মেইন প্রসেস।

 

কিভাবে Moneybookers (Skrill) এ একাউন্ট করবেন:

আপনি ফেসবুকে একাউন্ট নিশ্চই করেছেন? আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ফেসবুকে এবং অন্যান্য সাইটে রেজিস্টেশন করেছেন। হ্যা সেম জিনিসটাই করতে হবে Moneybookers (Skrill) এ।  সোজা skrill.com বা moneybooker.com এ যান এবং নতুন একটা একাউন্ট করে নিন। আমার মনেহয় স্ক্রীনশট দিয়ে একাউন্ট করে দেখানোর প্রয়োজন নেই।

সতর্কতা: খুব সতর্ক থাকবেন কারন ফেসবুকে ইনফরমেশন মিনিটে মিনিটে চেঞ্জ করা যায় কিন্তু Moneybookers (Skrill) এ যা দুস্পরিবর্তনীয়। তাই কোনভাবেই অন্তত নাম, ব্যাংক একাউন্ট নং ইত্যাদি ভূল দিবেন না। গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেমন পাসপোর্ট, ভিসা, ব্যাংক, ন্যাশনাল আইডতে সবসময় একই নাম ব্যাবহার করুন। ভুল হলে হয়তোবা একবার পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন কিন্তু সেটা অনেক বিড়ম্বনার। আজকাল অনেককেই দেখি একেকখানে একেক নামে রেজিস্টেশন করে, Moneybookers (Skrill) ব্যাংকনেম/ন্যাশনাল আইডি নেম এর হুবহু নাম দিয়ে রেজিঃ করুন। আরেকটি জিনিস নিজের জন্মতারিখ Moneybookers (Skrill) খুবই গুরুত্বপূর্ন তাই এটা ভূলে যাইয়েন না, এটা ভুলে যেয়ে বিড়ম্বনার পরেছে এরকম মানুষও আছে wink

এড্রেস ভেরিফাই করুন: Moneybookers (Skrill)র দ্বিতীয় কাজ হল এড্রেস ভেরিফাই করা, খুবই গুরুত্বপূর্ন কাজ, এড্রেস ভেরিফাই ব্যাতিত আপনাকে Moneybookers (Skrill) এককথায় কিছুই করতে দিবে না। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি একাউন্ট রেজিস্টেশনের সময় নিখুতভাবে নাম এবং এড্রেস এন্ট্রি দিয়েছিলেন। এখন আপনি Moneybookers (Skrill) এ লগিন করে এড্রেস ভেরিফাই এর লেটার এর জন্য আবেদন করুন। ১৫-২০ দিন লাগে লেটার আসতে ততদিন অপেক্ষা করুন। লেটারটি হাতে পেলে লেটারে থাকা ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী লেটারে উল্লেখিত কোডটি এন্ট্রি দিন তাহলে আপনার এড্রেস ভেরিফাই হয়ে যাবে। এড্রেস ভেরিফাই হল Moneybookers (Skrill) এর একটি গুরুত্বপূর্ন স্টেপ। এড্রেস ভেরিফাই করলে Moneybookers (Skrill) 3000-4000(আনুমানিক) ডলার/প্রতি ৯০ দিনে উইথড্র করতে দিবে। এই 3000-4000 ডলার হল আপনার উইথড্রয়াল লিমিট যা আরো ভেরিফাই এর মাধ্যমে বারানো যায়।

 

লেটার পান নি?

হ্যা অনেক অনেক অভিযোগ লেটার আসে নাই। চিন্তার কিছু নেই এরজন্যও বিকল্প ব্যাবস্থা আছে। লেটার দ্বিতীয়বার ইস্যু করা হয় না। তাই যদি লেটার না আসে তাহলে আপনাকে মেনুয়ালী ভেরিফাই করতে হবে। লেটার এর জন্য মিনিমাম ২৫ দিন অপেক্ষা করুন তারপর Moneybookers (Skrill) লগিন করে Email Support এ ক্লিক করে একটি ডিসপুট টিকিট খুলুন, টিকিটে বুঝিয়ে বলুন যে আপনি এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য আকাঙ্খিত চিঠিটি পান নি এখন কিভাবে এড্রেস ভেরিফাই করবেন” আপনাকে ওদের সাপোর্ট থেকে দেয়া মেইলে কিছু ইন্সট্রাকশন দিবে কিভাবে আপনি আপনার এড্রেস মেনুয়ালী ভেরিফাই করবেন। সাধারনত Moneybookers (Skrill) কিছু পেপারস চায় যেমন Government Issued photo ID, Utility bill (within last 6 month), Bank Statement (Within last 6 month) ইন্সট্রাকশনে চাওয়া পেপারস স্ক্যান করে মেইলে দেয়া ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী আপলোড করে দিন। এখানে উল্লেখ্য যে রেজিস্টার করা এবং পেপারস এর ঠিকানাও হুবহু মিল থাকাটাই সবথেকে ভাল তবে যদি সামান্য অমিল থাকে তাহলে ওদের সাপোর্টে একটু কড়া রংঙের যুক্তি দিলেই কাজ হয়ে যাবে। আশাকরি ভালভাবেই মেন্যুয়ালী ভেরিফাই হয়ে যাবে। আশাকরি ভালভাবেই মেন্যুয়ালী ভেরিফাই হয়ে যাবে। একান্তই যদি অমিল থাকে তাহলে হালকা ফটোশপে হাত দিতে পারেন তবে সেটা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে!

এবার ব্যাংক এড করুন: এড্রেস ভেরিফাই করার লেটার ইস্যু করার পরই আপনার কাজ হল একাউন্টে ব্যাংক একাউন্ট এড করা। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এড করার জন্য আপনানে সার্ভিস প্রদানকারী ব্যাংকটির Swift code জানতে হবে। কোডগুলি পাবেনhttp://www.theswiftcodes.com/bangladesh এই লিংকে। কোড গুলিতে লক্ষ করুন অনেক ব্যাংকেরই ব্রাঞ্চকোড আছে (সুইফট কোডের একটা তালিকা ওডেস্ক হেলপ গ্রুপের ডকুমেন্টেও আছে) । আপনি যদি আপনার শাখাটির জন্য আলাদা কোড পান  তাহলে সেটা এড করুন, অন্যথায় কোডের শেষে থাকা নিউমেরিক অংশ বাদে বাকিটুকু এড করুন, চিন্তার কোন কারন নেই। তবে ব্রাঞ্চকোড দিতে পারলে অর্থ দ্রুত আসার নিশ্চয়তা থাকে মাঝে মাঝে। এবং আরেকটি সুবিধা হল নিজের কাছের ব্রাঞ্চ থেকেই সেবা নেয়া যায়। না থাকলে মূল কোডই ইউজ করুন। উদাহারনস্বরুপ ডাচ বাংলা ব্যাংকের NABABPUR BRANCH এর কোড হল3 DBBLBDDH104 দেখা গেল আপনার নবাবপুর শাখাতে একাউন্ট নেই অন্যশাখাতে আছে তাহলে আপনি এভাবে DBBLBDDH এড করতে পারেন। এখানে বলে রাখা ভাল যে আপনি যদি নবাবপুর এর কোড দিয়েও ব্যাংক এড করেন তাও আপনি টাকা পাবেন কারন অনলাইন ব্যাংকিং। যাহোক কোডটি এন্ট্রি দিলে আপনার ব্যাংকের নাম শো করবে তারপর আাপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বরটি এন্ট্রি দিন, এখানে উল্লেখ্য যে আপনার একাউন্ট নং যদি হয় এরকম 137.436.76846 তখন ‘.’চিন্হগুলো বাদ দিয়ে লিখুন 13743676846 এভাবে। ব্যাস  ব্যাংক একাউন্ট এড করা হয়ে গেল। উল্লেখ্য অনেকে বলে আমার একাউন্ট নম্বর দুইটা একটা ছোট আরেকটা বড়,এটার ব্যাপার হল আপনি যেটাই এন্ট্রি দেননা কেন টাকা উইথড্র হবে সমস্যা নাই,নতুন পুরাতন মিশিয়া বহুদিন ধরে ব্যাবহার করছি কোন সমস্য নাই।

চরম সাবধানবানী: Moneybookers (Skrill)  আর আপনার ব্যাংক একাউন্টে যদি নামের একটি অক্ষরেরও ভিন্নতা থাকে তাহলে বিরত থাকুন উইথড্র দিতে। নামের ভিন্নতা থাকলে Moneybookers (Skrill) এ টিকিট খুলে নাম ঠিক করে নিন। তবে নাম কিন্তু একবারই চেঞ্জ করতে পারবেন তাই খুব সাবধান। আপনার এই ভূল আপনার কাছে ছোট মনে হলেও Moneybookers (Skrill) সেটাকে  Money Laundering বা Hacking ভাবতেই পারে! এছাড়াও অনেকে দেখি নিজের Moneybookers (Skrill) থাকে প্রিয়জনের একাউন্টে উইথড্র রিকুয়েস্ট করে ফেলেছে। ভূলেও এরকম কাজ করবেন না তাহলে চিরতরে একটা ঝামেলায় পরে যেতে পারেন। আরও একটি ব্যাপার জেনে রাখ ভাল যে  Moneybookers (Skrill) আপনাকে দ্বীতিয় কোন একাউন্ট করতে দিবে না কোনভাবে করলেও যদি ওরা বুঝতে পারে তাহলে সব যাবে।

কোন ব্যাংকে একাউন্ট করব?: অনেকেই বলবেন যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট করলে ভাল হবে, আমি নিজের কথা বলি DBBL, BRAC, IBBL সহ কয়েকটা ব্যাংকে আমার একাউন্ট থাকলেও আমি ডাচকেই সবথেকে রিকমেন্ড করি। ডাচে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে নিন যা পুরো ফ্রি এবং বাৎসরিক ফি মুক্ত। যাদের ইনকাম কম তাদের জন্য ডাচ বেস্ট তবে যাদের ইনকাম বেশি এবং ঢাকাতে থাকেন+দ্রুন টাকা দরকার হয় তারা ব্রাকে খুলতে পারেন। ডাচের সুবিধা হল সারাদেশেই আছে। স্টুডেন্ট একাউন্টে ডাচের মাসে 45 হাজার টাকা লিমিট থাকলেও রেমিটেন্সে এই লিমিট আরোপ করা হয় না তাই মানে আপনার ফ্রি একাউন্টে 10 লাখ টাকা আনলেও ওরা মাইন্ড খাবে না বরং আপনাকে আদরই (অতিতে পেয়েছি কিনা!) দিবে।

আপনার উইথড্র মেথড এড করুন মার্কেটপ্লেসে: আপনার মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড এর মাধ্যমে রিচার্জ করতে গেলে যেমন আপনার মোবাইল নম্বরটি লাগে তেমনি Moneybookers (Skrill) এ ডলার ঢুকাতে আপনার Moneybookers (Skrill) এ এড করা ইমেইল এড্রেসটি লাগবে। এড্রেসটি নিশ্চই আপনার মনে আছে এখন আপনি আপনার মার্কেটপ্লেসে লগিন করুন এবং Withdrawal Method হিসেবে ইমেইল এড্রেসটি এড করুন। মেথড সক্রিয় হতে ওডেস্ক ৩ দিন সময় নেয়। এখানে যে সমস্যাটা হয় তাহল ওডেস্ক দুটা মেইল উইথড্রয়াল মেথড হিসেবে এড করতে দেয় একটা হল @odesk.com আরেকটা হল আপনার মেইল যেটা দিয়ে ওডেস্কে রেজিস্টার করেছেন। দেখা গেল আপনি Moneybookers (Skrill) এই মেইল ইউজ না করেই রেজিস্টার করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনার ওডেস্কে সংযুক্ত দুটা মেইলের যেকোন একটাকে সক্রিয় করুন মেথড হিসেবে এবং তারপর সেটাকে Moneybookers (Skrill) এ এড করে নিন ব্যাস কাজ শেষ।

প্রথম Withdraw: খুবই ভালভাবে কাজগুলো সমাপ্ত হয়েছে এখন অপেক্ষা উইথড্র দেবার। ওডেস্কের Wallet থেকে উইথড্র করুন মুহুর্তেই ডলার Moneybookers (Skrill) এ চলে যাবে (যদিও সময় এর কথা বলা থাকে 2 ঘন্টা)। Moneybookers (Skrill) এ লগিন করুন হিস্ট্রিতে আপনার ডলার ডিটেইল দেখতে পাবেন। এবার Moneybookers (Skrill)কার থেকে উইথড্র দিন। Moneybookers (Skrill)কার থেকে উইথড্র দেবার সময় ব্যাংক একাউন্ট সিলেক্ট (যদি একাধিক ব্যাংক একাউন্ট এড করে থাকেন) করুন যেটাতে উইথড্র দিতে চাচ্ছেন। তারপর উইথড্র প্রসিড করুন পরবর্তী স্টেপে আপনার জন্মতারিখ এন্ট্রি দিতে বলবে এই জন্মতারিখই আপনার ভেরিফিকেশন পিন। এইতো এরপর একটি মেইল পাবেন। Moneybookers (Skrill)কার থেকে ডলার ব্যাংকে পাঠানোর পর আরেকটি মেইল পাবেন দ্বীতিয় মেইলটি পাবার পর ডাচে আসতে সময় লাগে মোটামুটি 4-6 দিন, ব্রাকে 2 দিন ইসলামী ব্যাংকেও 2-4 দিন মত। সময়মত ব্যাংকের একাউন্টে টাকা যোগ হয়ে যাবে তারপর কার্ড দিয়ে বা চেক দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।

ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করা: প্রথম উইথড্র করার পর আপনার প্রথম কাজ হল ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করা। যদি এড্রেস ভেরিফাই করা থাকে তাহলে ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করা বাধ্যতামূলক নয়। এখন দেখি কিভাবে কোন ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করতে হয়। Moneybookers (Skrill)কার ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য গত তিনমাসের মধ্যে কোন ব্যাংক ট্রানজেকশন এর ডিটেইলস দিতে হয়, তবে সেই স্টেটমেন্টে কত ডলার উইথড্র করেছিলেন সে এমাউন্টের উল্লেখ থাকতে হয়। এখানে সমস্যা হল ডাচের স্টেটমেন্টে এই এমাউন্ট উল্লেখ থাকে না। ব্রাকে বা IBBL এর হার্ড এবং অনলাইন স্টেটমেন্ট এ ডলার এমাউন্ট উল্লেখ থাকে, তাই এগুলোতে ভেরিভাই করা কোন সমস্যা না সমস্যা হয় ডাচে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এর একাউন্ট ভেরিফাই করা: আপনাকে আপনার ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করতে হবে এবং ব্রাঞ্চের যদি রেমিটেন্স প্রসেস করে তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন যে আপনার রিসেন্ট হওয়া SWIFT ট্রানজেকশনের পেপারসের সাথে Moneybookers (Skrill)কার একটি ভেরিফিকেশন পিন পাঠিয়েছে সেটা দেবার জন্য। মাথামোটা ডাচ বাংলার পাবলিকরা প্রথমে বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক। ওদের ভালভাবে বলুন মতিঝিল (ফরেন একচেঞ্জ) ব্রাঞ্চ এই প্রসেসগুলো ম্যানেজ করে। ওদের একটু বুঝিয়ে পিনটি কালেক্ট করুন তারপর Moneybookers (Skrill) এর ইমেইল সাপোর্টে পিনটি দিয়ে মেইল করুন।

BRAC: এ ব্যাংকে ভেরিফাই করা সবথেকে সোজা, প্রথমে আপনাকে একটি স্টেটমেন্ট এর কপি লাগবে, iBanking এ লগিন করুন এবং রিসেন্ট ট্রানজেকশন সহ একটি স্ক্রীনশট নিন এবং পিসিতে সেভ করুন। যাদের অনলাইন ব্যাংকিং একটিভ নাই তারা ব্যাংকে যেয়ে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করে আনুন। এবার Moneybookers (Skrill) এ লগিন করে Email Support এ যেয়ে আপনি একাউন্ট মেনুয়ালী ভেরিফাই চাচ্ছেন তা জানিয়ে একটা মেইল করুন ফিরতি মেইলে আপনাকে জানিয়ে দিবে কিভাবে কোথায় আপলোড করতে হবে।

পুরো প্রসেসটি শেষ হতে একটু সময় লাগবে কারন Moneybookers (Skrill) সাপোর্ট একটু স্লো বটে চিন্তার কিছু নেই, আপনার Moneybookers (Skrill) পার্সোনাল একাউন্ট এখন রেডি টু ইউজ।

যাহোক চেষ্টা করলাম সবার জন্য কিছু করতে। আশাকরি আপনাদের উপকার হবে। কারও কাজে লাগলেই আমার চেষ্টা সার্থক।

 

পোষ্টটি গুরুত্বপূর্ন মনেহলে সবখানে শেয়ার করুন তবে সোর্স উল্লেখ করতে হবে।

পুরানো স্মৃতিকথা ২

সালটা সম্ভবত ২০০১ তখন ক্লাস ফাইভে পরি, একটা মেয়ে খুব জ্বালাইতো, ক্লাসে খোচাখুচি থেকে শুরু করে সবখানেই। নাম রিমা, পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলায় থাকি তখন, আব্বু তখন বড়ালব্রীজ শাখা অগ্রনীব্যংকের ম্যানেজার। মেয়েরা ছেলেদের থেকে একটু দ্রুতই ম্যাচিরউর হয়, বোকা আমি কিছুতেই পেরে উঠতাম না, একদিন ছোট ভাইকে নিয়ে ওদের স্কুলে (তখন ক্লাস সিক্সে এবং আমি বয়েজ স্কুলে এবং সে গার্লস স্কুলে) গেলাম ম্যাজিক শো দেখতে, আমাকে একা পেয়ে গালে একটা কষে থাপ্পর দিয়ে দৌড়িয়ে পালিয়ে গেল, আমি গালে হাত দিয়ে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম  neutral

যথারীতি বন্ধুদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলাম উল্টা তারা আমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করতে লাগলো  brokenheart আমার জেদ চেপে গেল, ওদিনই বিকেলে খেলছিলাম মাঠে, দেখি ও যাচ্ছে প্রাইভেট পড়ে। আর কই যাবে দৌড়ে গিয়ে কিল ঘুষি মেরে আমার মতই শুকনা (আমি আগে থেকেই শুকনা আরকি) মেয়েটার হারহাড্ডি গুরো করে দেয়ার মত অবস্থা। বেচারা মাঠের মধ্যে কেঁদেই ফেললো আমি আর কিছু না বলে মাঠের মাঝখানে চলে আসলাম। বন্ধুরা ঘটনার আকস্মিকতা সহ্য করার পর আমাকে বললো পালাই যাইতে। আমি বললাম বিনা কারনে মারি নাই যাবো না। খেলা ভন্ডুল হয়ে গেল। মেয়েটা কাদতে কাদতে বাড়ি চলে গেল। একটু চিন্তা হল যে যদি তার বাড়িতে বলে দেয় কিন্তু আমার মেজাজ সেরকম গরম ছিল, হাজার হলেও এতগুলা মেয়ের মধ্যে চর মেরেছে। এলাকার লোকজনও হতভম্ব হয়ে গেল কিন্তু কিছু বললো না কেউ হয়তো ভেবেই পাচ্ছে না শান্তশিষ্ট পোলাপানগুলার আজ হলটা কি!

আজ অনেকদিন পর পুরাতন বন্ধুদের কথা মনে পরছে, বসে বসে পুরাতন দিনগুলোর কথা ভাবছি, কতইনা মধুর ছিল সে দিনগুলো, আব্বুর শাসন বাদ দিলে সবকিছুই রঙ্গিন ছিল, এখনকার শহরের ছেলে মেয়েরা ওরকম দিন শুধু স্বপ্নেই ভাবতে পারবে। ভাঙ্গুরা থাকতে আসলেই অনেক মজা করেছি, নৌকা করে নদী পার হয়ে টাকা না দিয়ে পালাইছি, রাস্তা দিয়ে ভ্যান যাচ্ছে দৌড়ে উঠে বসে থেকেছি আবার যেই ভ্যানচালক টের পেয়ে গেছে সাথে সাথে দৌড়ে পলায়ন, মাঠে বসে বসে কাচা ধানের শিশ চাবিয়েছি আরও কতকি  dream

বেশকিছুদিন আগে ভাঙ্গুরার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল, ওর কাছেই শুনলাম রিমার একটা মেয়ে হয়েছে এতদিনে স্কুলে যাওয়ার কথা  love, একটা ফোন নম্বর ছিল কথা বলা হয় নাই কোনদিন সেটা দিয়ে, ওটাও হারিয়ে ফেলেছি, থাকলে হয়তোবা পিচ্চির সাথে কথা বলা যেত  sad

ফিলিংস লাইক বুড়া হয়ে গেলাম নাকি  ….

পুরানো স্মৃতিকথা, কোন একদিন

সামনে পরীক্ষা আর আমি কিনা ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সারাদিন কম্পু গুতাই আর মটরসাইকেল নিয়া ঘুইড়া বেড়াই। এলাকায় আমার ব্যাপক সুনাম(নাকি দুর্নাম  thinking) আমি নাকি প্রচুর স্পিডে ড্রাইভ করি। মটর সাইকেলও একপিস ডায়াং ১২৫, ব্যাটার যা শব্দ। তারউপর এটার সাইলেন্সারে একটু কারিশমা ফলাইছিলাম যার ফলে সাউন্ডটা রকেটের আওয়াজে রুপান্তরিত হয়েছে। বন্ধুর বাবার মতে আমি নাকি রকেট চালাই। কাউরে পেছনে বসায়া ভয়ংকর সব টার্নিং নিয়া পেছনের পাবলিককে ভয় ধরায়া দিতে আমার যে খুব ভাল লাগে। আর টার্নিং এর সময়ই দেখা যায় বন্ধুর বাবা আর নাহয় আমার বাবার বন্ধু  dontsee সোজা বাড়িতে নালিশ। যাহোক বকবক অনেক হয়েছে।

আমি একটা ছাত্রও বটে পরীক্ষার আগে সাজেশন আর প্রাইভেট ব্যাপক ব্যস্ত হয়া যাই, সাইফ দি বস এর মতে আমি হলাম চালাক এবং জেট বিমান জাতীয় ছাত্র। তো এখন কি করা দরকার প্রাইভেট পড়া দরকার সামনে যে পরীক্ষা, কলেজে ক্লাসও যে করি নাই। দিনে ২ বেলা করে এডওয়ার্ডে আড্ডা দিয়েছি। তো নিলাম প্রাইভেট সকাল ৮ টার দিকে যাইতাম পড়তে।

কোন একদিন

শীতের সকাল কুয়াশাও দেখা যায়, আকাশটা দেখে ভাবতেছি দিনটা কেমন যাবে  thinking আম্মুর সাথে খাওয়া নিয়া বাগড়া বাধানো আমার পুরাতন অভ্যাস। কি কারনে যেন খাওয়া পছন্দ হয় নাই। রাগ করে একটা ডিম সেদ্ধ করে খালি পেটে খেয়েই চললাম কলেজে। মটর সাইকেলটা নিলাম না বিশ্বরোডে দুদিন না চালিয়ে যদি বাবার মনটা একটু পাওয়া যায়  dream  আপনারাই বলেন একজন পুরোদস্তুর রাইডার এর জন্য সক্কালবেলা হল উপযুক্ত সময়,  whats_the_matter রোড ফাকা থাকে, এসময় ৯০-১০০ কিমি তো চালানোর মজাই আলাদা।

যাহোক প্রাইভেটে স্যার আসলো দেরী করে। পড়া হল এবার বাড়ি যাব, স্থান জনৈক রাস্তার মোর দাড়িয়ে আছি সিএনজি(আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন তারা এই যানবহনকে লেগুনা বলেন) ধরব বলে। কেন যে গাড়িগুলা ঠিকমত আসে না  angry এত কেন অপেক্ষা করতে হবে! রাস্তা দিয়ে দেখি একটা মেয়ে আসছে এরকম গ্রামে এত সুন্দর স্মার্ট মেয়ে দেখে আমার একটু অবাকই লাগল, কিন্তু ঘড়িতে ১০ টা বাজলেও খিদেয় পেটের ১২ টা পার হয়ে গেছে তাই বেশি একটা নজর দিলাম না, এদিকে গাড়ি যেহেতু নাই তাই একটু ওদিকেই তাকিয়ে থাকি  neutral, যাহোক দেখলাম সুন্দর চেহারার একটি মেয়ে গার্লস স্কুলের ড্রেস পরিহিত, দুটো বেনিযুক্ত চুল, মাথার সামনে একটু চুল এনে ডিজাইন করা। সাথে একটু ছোট ছেলে ভাবলাম ছোট ভাই হবে। পিচ্চিটা হালকা লম্ফঝম্প দিতেছে। আমি তখন জ্যাকেট পরিহিত। কানে তো অলওয়েজ হেডফোন গান বাজতেছে লাভ সং এভারগ্রীন অ্যালবাম এর। শীতে হাত কিছুতেই আমি বাইরে রাখতে রাজি না  shame এদিকে পেটের বারোটা তাই চেহাড়ায় কোন নমনীয়তার সুর নেই, দুটো হাত পকেটে গুজেঁ মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে। আমার মনে কোন ইমোশন নাই দায়িত্বপালন করতেছি আরকি এরকম ভাব। আমাকে পাস করে চলে গেল মেয়েটি। আমি আবার গাড়ি খুজতে লাগলাম। মনে হল একবার দেখি না পেছনে তাকিয়ে,  না না তোমার তো প্রেম ভালবাসার প্রতি আগ্রহ থাকার কথা না  shame তুমি হলা একটা যান্ত্রিক মানুষ এসব ফালতু কামে তোমার আগ্রহ থাকার কোন মানেই হয় না। আরে বাবা আমিকি প্রেম করব নাকি? এমনি দেখব আরকি। তাইলে তাকাও  wink তাকাইলাম, কট খাইছি  ghusi মাইয়াও দেখি ঠিক সময়মত তাকাইছে আমার দিকে  ghusi দুজনেই কট। তারাতারি উভয়ই উভয়কে সামলে নিলাম। ধুর ক্যান যে তাকাইলাম   cry ওয়েটটাই আর থাকল না  angry

সিএনজি চলে এসেছে, আমি আর দেরি করলাম না উঠে পরলাম। কিছু তো একটা করতে হবে  thinking গানগুলা কেন যেন ভাল লাগতেছে না। কিছুদিন হল একটা নাটক দেখছিলাম নাম হল এক্স ফ্যাক্টর, প্রথম দর্শনে প্রেম এর কথাটা মাথায় আইল। মাথার মধ্যে এটাই ঘুরতে লাগল। ধুর আর থাকা গেল না।

ফোন দিলাম বন্ধুরে

আমিঃ যেখানেই থাক ২০ মিনিটের মধ্যে রেডি হও একযায়গায় যেতে হবে বন্ধুঃ কোথায় ?

আমিঃ যেখানেই হোক আমি বাইক নিয়া হাজির হচ্ছি। বন্ধুঃ আমিতো এখনও ঘুমাইতেছি খাইনাই।

আমিঃ আমি অতশত জানি না আমি তোমার বাসায় আসতছি, গেট রেডি! বন্ধুঃ আচ্ছা ঠিক আছে!!

বাসায় আসলাম হাপুর হুপুর খাইলাম বাইকটা বের করলাম এবং বন্ধুকে তুলে নিয়ে ১০ কিমি জার্নির জন্য রোডে উঠলাম, মিটারের কাঁটা ৮০ তে স্থির হল পুরা চ্যালেঞ্জ নিবিনা সালা  cool

জেকুয়েরী প্লাগিন কি কি কারনে কনফিক্ট করে এবং বিরত রাখার উপায়

আসলে প্রচুর জেকুয়েরী প্লাগিন নিয়ে কাজ করছি এখন, মেজাজটা মাথায় উঠে যখন দেখি একটার সাথে আরেকটা পেচায় নিয়া হ্যাং করে বসে আছে, তো কিছু জিনিস শিখলাম যেগুলো মাথায় রাখতে হয় প্লাগিনগুলো ইমপ্লিমেন্ট করার সময় এবং কিছু ফিক্সিং সিস্টেমও শিখলাম। এই টপিকের উদ্দেশ্য হল সেই ট্রিকগুলো একত্র করা আমি আমার জানা ট্রিকগুলো আপডেট করতে থাকবো এবং টপিকের রিপ্লাইতে আপনারা আপনাদের জানা ট্রিকগুলো দিলে আমি আপডেট করে দিবো, আশাকরি আমার মত পোলাপানদের জন্য এই টপিকটা একটা ডক হিসেবে কাজ করবে।

সাধারনতো জেকুয়েরী প্লাগিনগুলোর কোডে পাচটা জিনিস থাকে যেগুলো গুরুত্বপূর্ন, CSS, jQuery Library, Plugin jQuery Library, Trigger/Initialization আর Source Image and others..

ইমপ্লিমেন্টের সাধারন নিয়ম,

1) প্রথমে জেকুয়েরী লাইব্রেরী ফাইলটাকে HTML পেজে ইনসার্ট করে ফেলুন, <script> ট্যাগ দিয়ে এটা কিভাবে করতে হবে তা নিশ্চই পাঠকগন জানেন tongue

2) এবার প্লাগিনের লাইব্রেরীটা জেকুয়েরী লাইব্রেরীর পরে যেকোন যায়গায় ইনসার্ট করুন।

3) একটা ছোট ইনিশিয়ালাইজেশন বা ট্রিগার যাই বলি না কেন এটা জেকুয়েরী লাইব্রেরীর পরে ইনসার্ট করুন, যদি

$(document).ready(function() {
  // Handler for .ready() called.
});

এই ফাংশন ইউজ করেন তাহলে অবশ্য এই পার্টে সিরিয়াল মেইন্টেন করার দরকার নেই, কারন এই ফাংশন/মেথডের কাজই হল ডকুমেন্ট পূর্ন লোড হবার পর ভেতরের পার্টটাকে এক্সিকিউট করা।

4) সিএসএস ফাইলটাকে লোড দিন, এটা সাধারনতো কনফ্লিক্ট করে না তাই ঝামেলা কম, তারপরও করলে বুঝতে পারবেন এবং ক্লাসগুলো চেঞ্জ করে দিলেই সমস্যা ক্লিয়ার।

5) এবার ডকুমেন্টেশন দেখুন এবং সেই মোতাবেক HTML মার্কআপ করুন, ডেমো পেজ থেকে ডিরেক্ট কপি করতে পারেন।

6) এক্সারনাল ইমেজ এবং অন্যান্য জিনিসগুলো ঠিকমত লিংক হয়েছে কিনা চেক করে দেখুন এবং ঠিক করে দিন।

ব্যাস এইতো, কিন্তু সমস্যা হল যখন সারা ঘর লেপে দেখা যায় ঠিকঠাক নাই বা আরেকটা প্লাগিনের সাথে কনফ্লিক্ট করছে।

 

এখন এব্যাপারেই কিছু টিপস।

  • ব্যাতিক্রম আছে কিনা জানি না বাট আমার জানামতে প্লাগিনের জন্য যে স্পেসিফিক লাইব্রেরী থাকে সেটা সবসময় জেকুয়েরী লাইব্রেরীর পরে লোড নিশ্চিত করতে হবে অথবা কনফ্লিক্ট হবে নিশ্চিত থাকেন (উদাহারন হিসেবে বুটস্ট্রাপের লাইব্রেরীর নাম বলা যেতে পারে)
  • ধরুন নেভিগেশন ড্রপডাউন ইউজ করেছেন আর তার নীচে স্লাইডার, z-index এ যদি স্লাইডারের ভেলু বেশি থাকে অর্থাৎ স্লাইডার উপরে শো হয় তাহলে আপনার ড্রপডাউনের ভবিষৎ ঘুটঘুটে অন্ধকার, তাই Z-index চেক করে দেখবেন ভাল করে আসলেই যার উপরে থাকার কথা সেটা উপরে স্টে করছে কিনা। জিনিসটা একটু আগে বাবর ভাই শিখাইলো
  • অনেক সময় একটি প্লাগিন অনেকগুলো লাইব্রেরী ইউজ করে এবং ইমপ্লিমেন্ট করার পর ঝামেলা সৃষ্টি করে, প্লাগিনগুলোর ডেমো পেজের কোডগুলো দেখুন যে তারা ঠিক কোন লাইব্রেরীর পর কোনটা লোড দিয়েছে, আপনিও ঠিক সেই সিরিয়াল মেইন্টেন করুন।
  • এরপরও সমস্যা পরিলক্ষিত হয় সেক্ষেত্রে প্লাগিনগুলোর লাইব্রেরী উল্টাপাল্টা করে দিয়ে দেখুন।
  • কনসোলে চোখ রাখুন, ক্রোমে f12 চাপলে ডেভলপার অপশন আসবে, ওখানে কসসোলে জাভাস্ক্রিপ্ট এররগুলো দেখায় যা আপনাকে একটা গাইডলাইন দিতে পারবে।

 

এবার বড় ভাইয়েরা শুরু করেন আমি আপডেট দিতে থাকি  big_smile

ওডেস্কে ক্লায়েন্ট অসৎভাবে ব্যাড ফিডব্যাক দিয়েছে এখন করনীয় কি?

ওডেস্ক হেল্প গ্রুপে কন্ট্রিবিউট করার শুরু থেকেই একটা জিনিস শুনছি সেটা হল, ওডেস্কে ক্লায়েন্ট খারাপ ফিডব্যাক দিলে সেটা কিভাবে রিমুভ করা যায়। ওডেস্ক নরমালী কোন ফিডব্যাক রিমুভ করে না, তাই বলে কি কোন উপায় নেই? হ্যা আছে উপায় আছে,  আপনি যদি ওডেস্কের কাছে তথ্যপ্রমান এবং আপনার যুক্তিমুলক বক্তব্য দিয়ে প্রমান করতে পারেন যে ক্লায়েন্ট আপনাকে ডিসওনেস্টভাবে/ওডেস্ক পলিসি ভঙ্গ করে ফিডব্যাক দিয়েছে শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সেটা ওডেস্ক উইথড্র করবে। খুব গুরুত্বপূর্ন চারটি থ্রেডের লিংক দিলাম নিচে যা অবশ্যই অবশ্যই পরবেন ডিসপুট দেবার আগে, ভূলেও অযথা বারবার টিকেট ওপেন করবেন না বা যথেস্ট যুক্তিব্যাতীত টিকেট সাবমিট করবেন না, এক্ষেত্র আপনার টিকেট ওরা গুরুত্বসহকারে দেখবে না, এরকম ঘটনা নিয়ে অনেকেরই আক্ষেপ আছে।

Can I dispute negative feedback

I believe my client is abusing the feedback system. What can I do?

Can I dispute a feedback score or comment

What are the ratings and feedback regulations

এখন প্রশ্ন হল আপনি কিভাবে ডিসপুট দিবেন? এই প্রশ্নটার উত্তর আসলে দেয়াটা কঠিন, তবে দু:খজনক হলেও সত্য কিছুদিন আগে একজনকে ডিসপুট দিতে বলার পর সে কিছুই ঠিকমত উপস্থাপন করতে পারলো না এবং ওডেস্ক সাপোর্ট থেকেও ফিডব্যাক উইথড্র করলো না।

আপনাকে যা করতে হবে তাহল যুক্তিপ্রমান দিয়ে প্রমান করতে হবে যে এই এই কারনে ক্লায়েন্ট ডিসওনেস্টভাবে/ওডেস্কের রুল ব্রেক করে ফিডব্যাক লিভ করেছে। এবার আপনি সুন্দরভাবে আপনার প্রমানগুলো হাজির করুন, প্রমান হিসেবে আপনি ইউজ করতে পারেন চ্যাট হিস্ট্রির স্ক্রীনশট/ভিডিও ইত্যাদি, একটি কথা আগেই বলি ভূলেও কেউ ফেক স্ক্রীনশট ইউজ করবেন না, ওডেস্ক আপনার ক্লায়েন্টের সাথেও কন্টাক করবে এবং ক্লায়েন্ট যদি প্রুভ করে ফেলে যে আপনি প্রতারনা করছেন তাহলে কিন্তু ব্যান মোবারকের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সৎভাবে লড়াই করবেন ইনশাল্লাহ জিতবেন। আমার এরকম একটা অভিজ্ঞতা আছে, আমার ক্লায়েন্ট আমাকে 2.35 ফিডব্যাক দিয়েছিল, আমিতো রেগে আগুন, তারপর মামুন সৃজন (ওয়ার্ডপ্রেসের বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক ইনার বানানো তাই অনেকেই চিনবেন) নামে এক বড় ভাই আমাকে এরকমভাবেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, তার পরামর্শমত আমি ওডেস্কের কাছে ডিসপুট দেবার পর আমি জিতে যাই এবং ফিডব্যাক উইথড্র করা হয়।

তো আমি যেভাবে ডিসপুট দিয়েছিলাম সেটা হল

My Client left 2.35* rating, where Skills = 2 Quality = 3 Availability = 1 Deadlines = 3 Communication = 1 Cooperation = 4

এরপর আমি প্রতিটা স্টেপে তার দেয়া ফিডব্যাকগুলো কেন অযৌক্তিক তারজন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করলাম এবং 20-22 টা স্ক্রীনশটের লিংক আমি তাদের দিলাম, স্ক্রীনশটের লাইন নম্বর মেনশন করে করে লিখলাম যে সে চ্যাটে আমাকে জানিয়েছে সে আমার কাজে স্যাটিসফাইড কিন্তু ফিডব্যাক কম দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি ডিসপুট পেপার দুপেজ কেন দরকার হয় আরো কয়েকপেজ নিন কিন্তু তা যেন অর্থবহ হয় এবং বিশ্লেষনী হয়।

যাহোক নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছুটা শেয়ার করার চেষ্টা করলাম, কারও যদি কোন ব্যাতিক্রম অভিজ্ঞতা থাকে জানাতে পারেন বা শেয়ার করতে পারেন।

প্রথম প্রকাশ, আমার পার্সোনাল সাইটে, প্রজন্মের বা আমার সাইটের সোর্স উল্লেখ করে পোষ্ট কপি করে শেয়ার করা যাবে।