এত যেন অন্তহীন দিনগোনা, কতদিন গুনলে কেউ ক্লান্ত হয়, কতবার পরলে সব মেসেজ মুখস্ত হয়ে যায়? সময়ের মত সবসময় চলতে থাকা এই মেশিনটা যেন শুধু দুরত্বই বাড়িয়ে চললো। অপেক্ষার পালা যেন ইনফিনিট লুপে আছে শেষ হবার নামই নেই, জীবনটাই তো একটা লুপের মধ্যে, প্রতিদিন একেকটি এক্সিকিউশন এর এধ্যে আরও কত নেস্টেড লুপ…… থাক আর এসব টেকি প্যাচালে নাই বা গেলাম!
সেদিনটি কি ছিল তা মনে নেই, সপ্তম, অষ্টম আশ্চর্যের মত তোমার ফোন পেয়ে আমি যখন নিজেকেই চিমটি কাটার চিন্তা করছিলাম তখন মায়ের কথায় ঘোর থেকে বেরিয়ে ফোনটা ধরলাম।
একটু আসবে আমার বাসার পাশে? আমি কি উত্তর দিয়েছিলাম তা মনে নেই তবে তোমার বাড়ির পাশে দাড়িয়ে ছিলাম বাইক নিয়ে, অবাক করে দিয়ে বের হয়ে আসলে তুমি, আমিতো একভাবে মিররে তাকিয়ে তোমার চুল দেখছিলাম। এসে বসার অনুমতি চাইলে আমি উত্তর যেন মনে করতে থাকলাম ফিজিক্স প্র্যকটিকেল ভাইবার মত। তুমি বসলে, এতক্ষন পর আমার প্রশ্ন, কোথায় যাবেন ম্যডাম? উত্তর ছিল অনির্দিষ্ট গন্তব্যে, গ্রামের মেঠোপথ পেরিয়ে কোন একখানে যেখানে ছায়া সুনীবির কোন বটগাছের নীচে রাখালের বাঁশির শব্দ শোনা যায়।
আমি কোন বাঁশির শব্দ শুনতে পাই নি কিন্তু শুনতে পাচ্ছিলাম তোমার চুরির টুংটাং শব্দ, রাখালের বাঁশি শুনে মাতাল হওয়ার আর কিসের দরকার?
গ্রামের ঝাকিময় রাস্তা তোমাকে বাধ্য করে আমাকে জরিয়ে ধরতে, আমার গলা জরিয়ে ধরে যেন আমাকে ঘোরের মধ্যে চলে যেতে বাধ্য করলে তুমি, চলন্ত অবস্থায় তখন চোখ বন্ধ করে বড় নিস্বাস নেই, নিশ্বাসের মধ্যে এতকিছু আছে আগে তো জানা ছিল না!
আমি চালিয়েই যাই সেকেন্ডের সাথে, মিনিটের সাথে, ঘন্টার সাথে, সুর্য হার মেনে লুকিয়ে যেতে থাকে একসময়, লুকিয়েই যায়।
মন খারাপ করে বললাম চলো সন্ধা হয়ে গেছে তোমাকে বাড়ি পৌছে দেই, বললে না গেলে হয় না? থামিয়ে ঘুরে তাকালাম “খুব হয়” বলে অনির্দিষ্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আমরা, অনির্দিষ্টে নিজেদের গন্তব্য নির্দিষ্ট করতে।
তুমি শুধু তুমিতেই থেকে গেলে, নাম আর বলে কি হবে, সবই তো স্বপ্ন, দেখ কি তুমিও একই স্বপ্ন?
বিদ্র: গল্পের চরিত্র, ঘটনা এবং লোকেশন সবই কাল্পনিক, কারও সাথে মিলে গেলে তাহা নিছকই কাকতালীয় মাত্র।